গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি:-ডা.ওবাইদুল ইসলাম
সাদুল্লাপুরে বাড়ি মোরসালিন মানসিক রোগী ছিলেন!
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত যুবকের পরিচয় মিলেছে। নিহতের নাম মোরসালিন (২৫)। তিনি সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের বদলখাঁ গ্রামের রশিদুল ইসলামের ছেলে।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের ময়নাতদন্ত শেষে মোরসালিনের মরদেহ নিজ গ্রামে আনা হয়। এসময় তাকে একনজর দেখতে ভিড় করেন আশপাশের লোকজন।
এরআগে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের কাটাদ্বারা এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বালাসীঘাটে নদীতে সাঁতার কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোরসালিন বারবার নদীতে নেমে সাঁতার কাটছিলেন। আশপাশের লোকজন তাকে নিষেধ করলেও তিনি শুনছিলেন না। একপর্যায়ে নদীতে ডুবে নিখোঁজ হন। পরদিন বিকেলে তার মরদেহ ভেসে ওঠে।
নিহতের পরিবার ও প্রতিবেশীরা জানান, মোরসালিন দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে চলতি বছরের ৩ জুলাই তাকে বাড়িতে আনা হয়। তিনি এসএসসি পাস করেছিলেন এবং পরিবারের বড় সন্তান ছিলেন। তার বাবা রশিদুল ইসলাম ঢাকায় সিএনজি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।
মোরসালিনের দাদা চাঁন মিয়া বলেন, ‘মানসিক সমস্যার কারণে সে এমনটি করেছে। কয়েকদিন আগে দেখা হলে বলেছিল ভালো আছে, এমনকি বিয়ের কথাও বলেছিল।বাদ মাগরিব জানাজা শেষে নিজ বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় মোরসালিনকে।’
এ বিষয়ে ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, নদী থেকে মরদেহ উদ্ধারের পরপরই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তা বালাসীঘাট নৌ ফাঁড়ি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। শনাক্তের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।