সুবর্ণ নিউজ ডেস্ক
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে নির্ধারিত সরকারি খরচ ৭৯ হাজার টাকা হলেও বাস্তবে দালাল ও রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো শ্রমিকদের কাছ থেকে সাড়ে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে। দীর্ঘদিন ধরে চলা এই অনিয়মে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জানায়, প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে ১০১টি রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এর মধ্যে ২৫টি এজেন্সির মালিকানায় প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নামও রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা হয়েছে।
দুদকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাসপোর্ট, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও অন্যান্য অজুহাত দেখিয়ে এজেন্সিগুলো অতিরিক্ত অর্থ নিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে বহু প্রবাসী পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়ছে। অনেকেই বাড়ি-জমি বিক্রি করে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করলেও দেশে ফিরে আসতে হচ্ছে খালি হাতে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় এজেন্সিগুলো এতদিন ধরেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা বলছেন, শ্রমিকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পর্যবেক্ষণ ও কঠোর নজরদারি চালু করা গেলে প্রতারণা প্রতিরোধ সম্ভব। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
দুদক জানিয়েছে, প্রয়োজনে প্রতারণায় জড়িতদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও গ্রেফতারের মতো কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
সুত্র-সময়