খাঁন মোঃ শফিকুল ইসলাম
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সারা দেশে এখন ব্যাপক আলোচনা চলছে। সাধারণ ভোটারের মতোই প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীও নির্বাচনের প্রতি গভীর আগ্রহ প্রকাশ করছেন। তবে তাদের কিছু বিশেষ চাহিদা ও প্রত্যাশা রয়েছে, যা পূরণ হলে তারা আরও কার্যকরভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারবেন।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মতে, নির্বাচনে অংশগ্রহণ তাদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে শারীরিক বাধা, ব্রেইল ব্যালট পেপারের অভাব, শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য উপযুক্ত তথ্য সুবিধার ঘাটতি এবং হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য পর্যাপ্ত র্যাম্প না থাকায় তারা ভোগান্তির শিকার হন।
এছাড়া, তারা মনে করেন সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো প্রায়শই তাদের চাহিদা ও অধিকারকে ইশতেহারে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয় না। অথচ দেশের প্রায় দেড় কোটি প্রতিবন্ধী মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হলে গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে।
কিছু প্রতিবন্ধী সংগঠন দাবি তুলেছে, নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিবন্ধীদের জন্য শিক্ষা, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্যসেবা এবং জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনকে অধিদপ্তরে রূপান্তরে অগ্রাধিকার দিতে হবে। পাশাপাশি সংসদে তাদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হলে নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় তাদের সমস্যাগুলো আরও বাস্তবসম্মতভাবে প্রতিফলিত হবে।
সচেতন মহল বলছে, সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করাই গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর ভোটাধিকার চর্চা নির্বিঘ্ন করতে নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
(প্রতিবন্ধী সম্পর্কিত নিউজ চলমান থাকবে)