মোঃ বাবলু মল্লিক, নড়াইল প্রতিনিধি:
নড়াইলের কালিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইভা মল্লিক ঘুষ, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতায় একের পর এক খবরের শিরোনামে আসেন। অবশেষে আলোচিত সেই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত কৃষি অফিসার পদে বদলির আদেশ দিয়েছেন কৃষি বিভাগ।
বুধবার দুপুরে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বদলির বিষয়টি সময় সংবাদিকদের নিশ্চিত করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. জসীম উদ্দীন।
এর আগে মঙ্গলবার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. ছাইফুল আলম স্বাক্ষরিত আদেশে নড়াইলের কালিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইভা মল্লিককে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসের অতিরিক্ত কৃষি অফিসার পদে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়।
চিঠিতে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এক অফিস আদেশে চার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বদলি করা হয়। আদেশে বলা হয় আগামী ২৭ আগস্ট বর্তমান কর্মস্থল থেকে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান করবেন, অন্যথায় পরদিন ২৮ আগস্ট থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত (স্ট্যান্ড রিলিজ) বলে গণ্য হবেন।
উল্লেখ্য, কালিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইভা মল্লিকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ও বিশ্ব ব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে পরিচালিত উপজেলার ১৪টি কৃষকদের পার্টনার ফিল্ড স্কুলগুলোতে চরম অব্যবস্থাপনা সহ কৃষকদের সেশনের প্রাপ্য নাস্তা ও সম্মানী বাবদ পাওনা টাকা নিয়ে নয়-ছয়ের অভিযোগ ওঠে। গত মাসের ৩১ জুলাই ওই কর্মকর্তার অনিয়মের স্পষ্ট প্রমাণসহ সময় সংবাদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। রাতারাতি দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কৃষি কর্মকর্তা ইভা মল্লিকের অনিয়ম, প্রকাশিত হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ভাইরাল হয় তার অনিয়মের বিভিন্ন বক্তব্য, আর জন্ম দেয় তীব্র সমালোচনার।
এর আগে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ দাবি, হেনস্তা এবং ডিলারশিপ বাতিলের হুমকি দেয়ার অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসক ও জেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় বরাবর অভিযোগ দেন সার ও বীজ ডিলার শেখ জামিল আহমেদ। এ নিয়ে কয়েক দফায় তদন্ত করেন কৃষি বিভাগ ও জেলা প্রশাসন। আর সময় সংবাদসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবরের শিরোনামে বারংবার আসেন কালিয়া উপজেলা কৃষি বিভাগের এই কর্মকর্তা। আলোচিত কৃষি বিভাগের ওই কর্মকর্তা ২০২৩ সালের মে মাসের ১৭ তারিখ কালিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পদে যোগদান করেন।