নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
রূপসার আরমই পাঁচানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইয়াহিয়া সেখ এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে ৩ আগষ্ট বিকেল সাড়ে ৪ টায় টিএসবি ইউনিয়নের পাঁচানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবকদের আয়োজনে স্কুল মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আরমই পাঁচানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক লায়লা জেসমিন আখতারী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৯৫৩ সালে ১ একর ৩২ শতক জায়গার উপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। তারপর থেকে এই এলাকার শত শত শিশুরা পড়ালেখা করে আসছে। প্রায় দুই বছর আগে এই প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে ইয়াহিয়া সেখ যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে তিনি প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে লেখা পড়ার উন্নতিসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তারি ধারাবাহিকতায় স্কুলে সুপিয় পানির ব্যবস্থা না থাকায় পরিচালনা পরিষদের অনুমতি ক্রমে পানির ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারপর কয়েক মাস পূর্বে বিশুদ্ধ পানির জন্য টাকার প্রয়োজনে স্কুলের সীমানার ভিতরে অবস্থিত আম গাছের আম বিক্রি করে দেন। এ ঘটনার পর স্কুলের পার্শ্ববর্তী জয়নুল আবেদিন খানসহ তার লোকজন তাতে বাধা সৃষ্টি করে তাদের ডিসিআরকৃত সম্প্রতি বলে দাবি করেন। কিন্তু স্কুলের সীমানার ভিতরে ইতিপূর্বে কখনো তারা তাদের ডিসিআরকৃত সম্পত্তি বলে দাবি করেননি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইয়াহিয়া সেখ আম গাছের আম বিক্রি করার পর থেকে জয়নুল আবেদিন খানসহ তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। গত ১৬ জুলাই তার বিরুদ্ধে স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষনের অভিযোগ আনা হয়। তবে যেখানে বসে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে তা রীতিমতো হাস্যকর। পরবর্তিতে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষার্থীর পিতা বাদি হয়ে রূপসা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তারপর ২০ জুলাই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
তার মুক্তির দাবিতে প্রয়োজনে মানববন্ধন সহ আরো বড় ধরনের কর্মসূচি দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামপুর পুঁটিমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুস সাত্তার খাঁন, গ্রেফতারকৃত ইয়াহিয়া শেখের সহধর্মিনী ও স্বল্প বাহিরদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আফরোজা খাতুন, প্রধান শিক্ষক আফরোজা নাজনীন,আজগড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম, মাজেদা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফিরোজ শাই, সহকারী শিক্ষক মনোরমা লাহিড়ী,তানিয়া সুলতানা, এস এম শফিকুল ইসলাম ওলিসহ শিক্ষার্থীদের অভিভাবক বৃন্দ ও এলাকাবাসী।