ডেক্স রিপোর্ট
প্রিয় সহকর্মী বৃন্দ,
কিছুই ছিলোনা আমাদের শুধু মানবিক দয়া/ বিবেচনা ছাড়া। আইন,বিধি,নীতি কিছুই ছিলোনা। বুক ভরা হতাশা, আতঙ্ক আর ভয়। শোষণের ভয়, নিপিড়নের ভয়। এই আছি এই নাই। ২০১৪ সালের একটা অধিদপ্তরের ঘোষণা, ২০১৬ সালের অধিদফতর ঘীরে সেবাকেন্দ্র বাদ দিতে নানান নাটকীয়তা। এক বুক আশা নিয়ে ১৮/০১/২০১৮ তারিখে সৃষ্টি হোল আমাদের আজকের সকলের প্রিয় মাদার সংগঠন জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র কর্মকর্তা কর্মচারী সোসাইটি। কেউ জানি না কি হবে। কিন্তু সকলের মনে হতাশা, আতঙ্ক এবং বিস্ময় কি হবে। একটা কথা সকলেই মনে প্রাণে বিশ্বাস করতাম আমাদের সভাপতি হিসেবে যাকে পেয়েছি তিনিই পারবেন। আমি তখন তাহমিনা ম্যাডাম, নাজমুল স্যার, কামরুল স্যার, নাসির স্যার, কামরুল, ইউসুফ ভাই, রাজুদা, সুমনসহ আরও অনেকে মিলে মিশে কাজ করেছি। দিনরাত উজাড় করে দিয়েছি, কোন কিছুর তোয়াক্কা ছিলো না। আমরা কয়েকজন সর্বদা পরিকল্পনা করতাম কিভাবে সভাপতির কাজ সহজ হয়। কোথাও কোন ভুল হয় কি না, মাঠের পরিস্থিতি কি তা বিবেচনা করে কখন কি উদ্যোগ নিতে হবে, সভাপতির সাথে আলোচনা করতাম। আমাদের টিমে একেকজন একেক রকম পারদর্শী আমাদের মফিজ স্যার প্রশাসনিক কাজে দারুণ মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন, হানিফ স্যারও চমৎকার বুদ্ধিদীপ্ত যা সভাপতি মহোদয় এর কাজের বেগ বাড়িয়ে দেয়। এই তিনজনের কারিশমাটিক ভূমিকা আমাদের সফলতার দারে একটু একটু করে এগিয়ে নেয়। আমরা যখন ২০১৯ সালের সচিব কমিটির বৈঠকে সফল হলাম সভাপতি মহোদয় খুবই জোড় দিয়ে বললেন অধিদপ্তর আমাদের হবেই। আজ অথবা কাল। কিন্তু আমাদের ভাগ্য খারাপ ২০১৯ সালে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া ঘোষণা আর হোল না, যা হোল তার জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম না। সেইদিন ততকালিন ডিজি মহোদয় এর সাথে ফাউন্ডেশন এর কিছু লোক মিলে হাশি তামাসায় লিপ্ত ছিলো। বুক ফেটে চিৎকার করে কান্না করতে গিয়ে মনকে সান্তনা দেই এই হাসিই হবে আমার শক্তি। মাননীয় সভাপতি পরদিন থেকে আগের চেয়ে আরও বেশি করে নিজেকে আত্ম নিয়োগ করলেন যেন নতুন স্পীড। এরপর শুরু হোল নতুন পরিকল্পনা আইন যা ২০১৮ সালে আমরা আবেদন করে রেখেছিলাম। সেটা নিয়ে কাজ শুরু করলাম। কিন্তু ততকালীন মন্ত্রী র ওখানে ফাউন্ডেশন এর কিছু কুলাঙ্গার সহকর্মী গিয়ে বিভিন্ন ইস্যুতে বাধা সৃষ্টি করতে লাগলেন। কোনক্রমেই যেন বাধা অতিক্রম করতে পারছি না। এমন মুহুর্তে আমাদের টিম সভাপতির নির্দেশনা মেনে বিশাল এক শক্তির সঞ্চার হোল যার ফলে আমরা পেলাম আমাদের কাঙ্খিত আইন ২০২৩। কিছু ছিলো না থেকে আমাদের হোল আইন। এর পর সভাপতি মহোদয় নিজের পক্ষ থেকে একান্ত ইচ্ছা থেকে দিলেন ইনক্রিমেন্ট, উচ্চতর স্কেল, কিন্তু এই মহূর্তে অত্যন্ত জরুরী একটি স্থায়ীত্বের প্রজ্ঞাপন, বিধি প্রবিধিমালা, সাংগঠনিক কাঠামো। আবারও শকুনের দল সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে আমাদের সফলতা খেয়ে ফেলতে মরিয়া। আমরা যেখানে স্থায়ীত্বের প্রজ্ঞাপন, বিধি প্রবিধিমালা, সাংগঠনিক কাঠামো পাশ নিয়ে ব্যস্ত সেখানে কতিপয় কর্মকর্তা/ কনসালটেন্ট নিজের আর্থিক সুবিধা পেতে মরিয়া। আমার কান্না পায় লজ্জা পায়, কোনটা জরুরী এটা একজন অফিসার যদি না বুঝতে পারেন তাহলে কি দূর্ভাগা আমরা।
যে সভাপতি আমাদের পিতৃতুল্য দায়িত্ব পালন করছেন তার প্রতিও আমাদের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা উচিত।
যাইহোক,সভাপতি মহোদয় ঐক্যের ডাক দিয়েছে। আমাদের কাজগুলো বের করতে ঐক্য বদ্ধ একটি শক্তি দরকার। যার যেখানে সুযোগ আছে সভাপতি মহোদয়কে জানাবেন। কোন কিছু যদি নাও থাকে। আমরা যেন নিজেরা এমন কিছু না করি যার জন্য আমাদের কাজ বাধাগ্রস্ত হয়। সেটাও একটা অন্যরকম সাহায্য।
আসুন, অার কোন ভেদাভেদ না করি, সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শক্তির সঞ্চার করি, নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নে প্রয়োগ করি।
আসুন না স্যার, আমরা সকলে মিলে আর একবার ঐক্যবদ্ধ হই। আপনাদের সকলের পায়ে পরি আর এমন কোন কাজ না করি। আমরা নিজেদের স্বার্থে কাজ করি। প্লিজ স্যার। আসুন না এক সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি। আমরা সফল হবোই ইনশাআল্লাহ।
অনুরোধক্রমে
এমকে পারভেজ
পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক
জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র কর্মকর্তা কর্মচারী সোসাইটি
থেরাপিস্ট এসিস্ট্যান্ট, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়।