নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ নোয়াখালী সুবর্ণচরে তুচ্ছ ঘটনায় বাড়ী ঘরে হামলা ভাচুর লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে বাঁধা দিতে গেলে প্রতিপক্ষের হামলায় ২ নারীসহ ৩ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় চরজব্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী।
ঘটনাটি ঘটে, ১২ মে (সোমবার) সুবর্ণচর উপজেলার পূর্বচরবাটা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড পূর্বচরবাটা গ্রামে।
আহতরা হলেন, পূর্বচরবাটা গ্রামের মৃত নেয়াজুর রহমানের পুত্র হুমায়ুন কবির সুমন(৪২) তার স্ত্রী মাজেদা বেগম (৩৫), এবং মা সকিনা খাতুন(৬০)।
ভুক্তভোগী হুমায়ুন কবির সুমন বলেন, ১২ মে সোমবার রাত ৯ টায় স্থানীয় বাঁশখালী সুইচ গেট কালু মিয়ার দোকানে চা খেতে যান সেখানে কালুর দোকানে চা খাওয়া অবস্থায় পূর্বচরবাটা গ্রামের হজল হকের পুত্র সুমন (২২) হুমায়ুনকে উদ্দ্যেশ্য করে আমার ছেলে সুজনের নামে মিথ্যা, বানোয়াট কথা বলে এবং গাল মন্ধ করে এতে আমি বাঁধা দিলে দুজনের মধ্যে ঝগড়াঝাটি শুরু হয়। পরে সেখান থেকে আমি বাড়ীতে চলে যাই রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সুমনের নেতৃত্বে তার ভাই রফিক (৩৩) সোহেল (২৮) এবং পশ্চিম চরবাটা গ্রামের নুর ইসলামের পুত্র মোজাম্মেল (১৯), পূর্বচরবাটা গ্রামের দিদারসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনের দেশীয় অ*স্ত্র*সস্ত্র সজ্জ্বিত হয়ে স★ন্ত্রাসী কায়দায় আমার বাড়ীতে ডুকে আমার ওপর এলোপাতাড়ি হামলা করে, তখন আমার মা সকিনা খাতুন এবং স্ত্রী মাজেদা বেগম এগিয়ে এলে তাদেরকেও পিটিয়ে আহত করে এবং শ্লিলতাহানী করে। যখনই তারা সকলে উত্তোজিত হয়ে আমার ঘর বাড়ী কোপাতে থাকে তখন আমি বাঁধা দিতে গেলে সোহেল আমাকে হত্যার উদ্দ্যেশে মাথায় কোপ মারে এতে আমার মাথা ফেটে যায়, পরে আমাদের শৌরচিৎকারে এলাকাবাসী দৌঁড়ে এলে সকলে পালিয়ে যায়। অভিযুক্তরা পালিয়ে যাবার সময় আমার মোবাইল ফোন এবং পকেটে থাকা নদগ টাকা চিনিয়ে নিয়ে যায়, পরে আমাদেরকে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।
একাধিকবার ফোন করেও অভিযুক্তদের না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্বব হয়নি।
চরজব্বর থানার অফিসার (ওসি) শাহীন মিয়া বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।